বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে তুলনা করে বাংলাদেশেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ করার দাবি জানানো হয়েছে। আর এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র এমপি হাজী সেলিম এ দাবি জানান। এর আগেও (১ ফ্রেব্রুয়ারি) সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ করার দাবি জানিয়েছেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
হাজী সেলিম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন- ‘জাতিসংঘ ইউনাইটেড নেশনস হাই লেভেল প্যানেল অন
ওয়াটার’ নামে একটি প্যানেল করতে যাচ্ছে। এই প্যানেলে বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রীকে সদস্য হিসেবে রাখার প্রস্তাব করেন বান কি-মুন।
প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাবে সম্মতি জানান।
তিনি বলেন, ‘আনন্দের এই ঢেউয়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কিছু চাই। সর্বত্র ব্যাপকভাবে প্রচারিত এবং বাস্তব সত্য পৃথিবীর রোল মডেল শেখ হাসিনার কাছে কিছু চাইতে হয় না। চাওয়ার আগেই তিনি দিয়ে দেন। তবুও একটি প্রবাদ আছে- ‘সন্তান না কাদলে মাও দুধ দেয় না।’ তাই আমরা দেশের বেকার শিক্ষিতদের জন্য কান্নাকাটি করছি। সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবি জানাচ্ছি। এই দাবি যুক্তিসঙ্গত।
এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারি প্রবেশের বয়সসীমা ৪০ রয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৪০ বছর, শ্রীলংকায় ৪৫ বছর, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৫ বছর, ইতালিতে ৩৫ বছর, ফ্রান্সে ৪০ বছর, যুক্তরাষ্ট্রে ৫৯ বছর, কানাডা ও সুইডেনে ৪৭ বছর, কাতার ও নরওয়েতে ৩৫ বছর, এঙ্গোলায় ৪৫ বছর এবং তাইওয়ানে ৩৫ বছর।
আমাদের দেশে ডাক্তারদের আবেদনের বয়স ৩২ বছর। নার্সদের ৩৬ বছর। অথচ সংবিধানে সকল নাগরিকের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে ২০১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আবেদন করা হয়েছে।
সেলিম বলেন, বর্তমানে সেশনজটসহ বিভিন্ন কারণে চাকরির আবেদনের বয়স শেষ হয়ে যায়। ২০০৮ সালে শুধুমাত্র মাস্টার ডিগ্রিতে সেশনজট ছিল দুই বছরের বেশি। ২০০৯ ও ২০১০ সালে তিন বছরের বেশি।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংসদে মুলতবি প্রস্তাবসহ বিভিন্ন সময় আলোচনা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে খবর এসেছে। আমার দাবি মেনে নিলে আমরাও ধন্য হই। বয়সসীমা অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিলিয়ে ৩৫ করা হলে সরকারি চাকরি প্রত্যাশীরা উপকৃত হবেন।
তিনি বলেন, ‘আনন্দের এই ঢেউয়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কিছু চাই। সর্বত্র ব্যাপকভাবে প্রচারিত এবং বাস্তব সত্য পৃথিবীর রোল মডেল শেখ হাসিনার কাছে কিছু চাইতে হয় না। চাওয়ার আগেই তিনি দিয়ে দেন। তবুও একটি প্রবাদ আছে- ‘সন্তান না কাদলে মাও দুধ দেয় না।’ তাই আমরা দেশের বেকার শিক্ষিতদের জন্য কান্নাকাটি করছি। সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবি জানাচ্ছি। এই দাবি যুক্তিসঙ্গত।
এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারি প্রবেশের বয়সসীমা ৪০ রয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৪০ বছর, শ্রীলংকায় ৪৫ বছর, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৫ বছর, ইতালিতে ৩৫ বছর, ফ্রান্সে ৪০ বছর, যুক্তরাষ্ট্রে ৫৯ বছর, কানাডা ও সুইডেনে ৪৭ বছর, কাতার ও নরওয়েতে ৩৫ বছর, এঙ্গোলায় ৪৫ বছর এবং তাইওয়ানে ৩৫ বছর।
আমাদের দেশে ডাক্তারদের আবেদনের বয়স ৩২ বছর। নার্সদের ৩৬ বছর। অথচ সংবিধানে সকল নাগরিকের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে ২০১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আবেদন করা হয়েছে।
সেলিম বলেন, বর্তমানে সেশনজটসহ বিভিন্ন কারণে চাকরির আবেদনের বয়স শেষ হয়ে যায়। ২০০৮ সালে শুধুমাত্র মাস্টার ডিগ্রিতে সেশনজট ছিল দুই বছরের বেশি। ২০০৯ ও ২০১০ সালে তিন বছরের বেশি।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংসদে মুলতবি প্রস্তাবসহ বিভিন্ন সময় আলোচনা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে খবর এসেছে। আমার দাবি মেনে নিলে আমরাও ধন্য হই। বয়সসীমা অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিলিয়ে ৩৫ করা হলে সরকারি চাকরি প্রত্যাশীরা উপকৃত হবেন।
No comments:
Post a Comment